আবারও বিয়ে করলেন তাহসান
বিনোদন জগতে বর্তমানে চর্চিত খবর সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের বিয়ে। ছবিতে বিয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও কবিতার ছন্দে ফেসবুকে স্ত্রীর ছবি পোস্ট করেন তাহসান। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিয়ে সেরে নিয়েছেন। তার স্ত্রী রোজা আহমেদ। তিনি একজন আন্তর্জাতিক মেকআপ আর্টিস্ট। তাহসান খানের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেল উদ্যোক্তা ও আন্তর্জাতিক মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের নাম। শুক্রবার গায়েহলুদের আবহমাখা একটি ছবি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা ভেবে নেন বিয়ে করছেন তাহসান। কিন্তু তখন পর্যন্ত এর বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। বরং অভিনেতা অপেক্ষা করতে বলেছিলেন ভক্তদের।
পরে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবারই ছিল তাদের গায়েহলুদ। সে ছবিই ভাইরাল হয়েছে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে চমক দিতে চেয়েছিলেন তিনি। অবশেষে বিয়ে প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে তাহসান বললেন,‘আমাদের দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিয়ে হয়। বিয়ে করার পরই সবাইকে জানাতে চেয়েছি। যে কারণে আগে কাউকে কিছু বলিনি। আমরা যেন একসঙ্গে সুন্দরভাবে পথ চলতে পারি, সেই দোয়া চাই।’
এদিকে, কনের সঙ্গে ফেসবুকে প্রথম ছবি পোস্ট করেছেন গায়ক এবং অভিনেতা তাহসান খান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটের পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে হালকা গহনার সঙ্গে শাড়ি পরেছেন কনে রোজা আহমেদ। ম্যাচিং করা পাঞ্জাবি পরেছেন তাহসান। দুজনের মুখের হাসি বলে দিচ্ছে, সময়টা দারুণ কাটছে তাদের। বরিশালের মেয়ে রোজা আহমেদ। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন, বরিশাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের যাওয়ার গল্পটা সহজ ছিল না। তার শৈশব কেটেছে বরিশালেই। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জন করেন এবং নিউ ইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার‘। এটি এখন ব্রাইডাল মেকআপ শিল্পের অন্যতম সফল একটি প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে রোজা বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাইডাল মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি একজন প্রশিক্ষক হিসেবে নারীদের কসমেটোলজিতে দক্ষ করে তুলছেন এবং তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রেরণা দিচ্ছেন। তার ফেসবুক পেজ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’–এ নয় লাখেরও বেশি অনুসারী রয়েছে।
রোজা একজন সফল উদ্যোক্তা হলেও তার ব্যক্তিগত জীবন অত্যন্ত সাদামাটা। তিনি ঘোরাঘুরি ভালোবাসেন এবং দেশে থাকতে সাজেক, নাফাখুম, রাঙামাটি ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি রান্নায়ও পারদর্শী। চুইঝাল থেকে শুরু করে কাঁকড়ার মতো নানা পদের খাবার তৈরি করেন।