Friday, October 31, 2025
১৬ কার্তিক ১৪৩২

সদ্যপ্রাপ্ত

>> গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতা

>> সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হলে লং মার্চের হুঁশিয়ারি দিলেন নাহিদ ইসলাম

>> ‘ফেব্রুয়ারিতে আপত্তি নেই, তবে যেনতেন ভোট চায় না জামায়াত’: আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

>> ইসলামিক এনজিওকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

>> রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে বন্ধ থাকবে গ্যাস

>> তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের পথ বের করতে হবে: মির্জা ফখরুল

>> গুমে সেনাসদস্যরা সংশ্লিষ্ট থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর

>> সাধারণ ক্ষমার সীমা নির্ধারণ ও বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠনে একমত রাজনৈতিক দলগুলো

>> নারী এশিয়ান কাপে ঐতিহাসিক সাফল্য

>> বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

আপনি পড়ছেন : Media Bias & Fact-Check

শাপলা চত্বরে নিহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করল হেফাজতে ইসলাম


স্টাফ রিপোর্টার
2025-05-05 ১২:৩২ পিএম
শাপলা চত্বরে নিহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করল হেফাজতে ইসলাম
ছবি:সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে নিহতদের মধ্যে ৯৩ জনের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তালিকাটি প্রাথমিক খসড়া এবং এ সংখ্যা যাচাই-বাছাইয়ের পর আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

রবিবার (৪ মে) হেফাজতের জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বশীল মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী এই তথ্য জানিয়েছেন।

 কেফায়েতুল্লাহ জানান, এটি একটি প্রাথমিক খসড়া তালিকা এবং যাচাই-বাছাই শেষে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তালিকা চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা ওই ঘটনার পর হেফাজতে ইসলাম দাবি করেছিল তাদের শত শত নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তবে তারা কোনো তালিকা পেশ করতে পারেনি। এটা নিয়ে হেফাজতের ভেতরেও অনেকের ক্ষোভ ছিল।

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ ঘটনার পরপর হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে ৬১ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছিল শাপলা চত্বরের অভিযানে কেউ মারা যায়নি। যদিও তাদের এই বক্তব্য কেউই বিশ্বাস করেনি।

প্রসঙ্গত, ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননা ও নারীনীতির বিরোধিতাসহ ১৩ দফা দাবি তুলে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হাজার হাজার কওমি আলেম শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মুসলমান মহাসমাবেশে অংশ নেন।

সেদিন রাত গভীর হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের। অভিযানে ব্যাপক গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া হয়। হেফাজতে ইসলামের দাবি, ওইদিন অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৩ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে এবার।

প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় নিহতদের নাম, ঠিকানা ও পরিবারের সদস্যদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিহতদের অধিকাংশই যুবক ছিলেন।

হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই ঘটনার জন্য তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে দায়ী করে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে